বিয়ানীবাজারে তুলার গুদামের আগুনে পুড়লো কারখানা, মুদি দোকান

নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক

আগস্ট ৩১ ২০২৫, ১৬:৩৭

বিয়ানীবাজারের মোল্লাগ্রামে স্থানীয় একটি মার্কেটে অগ্নি দুর্ঘটনায় একটি তুলার গুদামসহ কারখানা ও একটি মুদি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় বিয়ানীবাজার ফায়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না।

বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম মহাসড়কের মোল্লাপুরগ্রামে সড়কের পাশ্ববর্তী আব্দুল করিমের মার্কেটে থাকা জবির উদ্দিনের তুলার গুদামে আগুন লাগে। আগুনে তুলার গুদাম, কারখানা এবং পাশের গুলজার আলমের মুদি দোকান পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেড়ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয় এবং ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুকুর বা জলাশয় না থাকায় পানির সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, তুলার গুদাম বা যেখানে দ্রুত আগুন লাগে সেরকম স্থাপনায় ব্যক্তি উদ্যোগে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এরকম টিলা এলাকায় জলাশয়ের অভাব রয়েছে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়। তারপরও তারা দক্ষতার সাথে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মুদি দোকান মালিক গুলজার আলম বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনায় তুলা গুদামের ৩ লাখ টাকার তুলা এবং মুদি দোকানের দেড়লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, কোন কিছু বুঝার আগেই সব পুড়ে যায়। তবে আগুন কিভাবে লাগলো সেটি তারা টের পাননি। ধোয়া দেখতে পেরে পাশের চায়ের হোটেল থেকে একজন বলার পর তারা আগুন লাগার বিষয়টি টের পান।

অগ্নি দূর্ঘটনা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার সুকুমার সিংহ বলেন, আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তথ্য ও চিত্র সংগৃহীত।