সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে যানজটে আটকা পরেছেন উপদেষ্টা
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ০৮ ২০২৫, ১০:৩৯

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশের তীব্র যানজট থেকে রক্ষা পেতে মোটরসাইকেলে চড়তে বাধ্য হলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনে এসে পৌঁছান উপদেষ্টা। পরে তিনি সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আশুগঞ্জের একটি হোটেল যাত্রাবিরতির পর তিনি রওনা হলে বাহাদুরপুর এলাকায় তীব্র যানজটে আটকে পড়েন।
দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থাকার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তিনি বাহাদুরপুর থেকে মোটরসাইকেলে উঠে যাত্রা চালিয়ে যান। আট-দশটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তিনি অবশেষে বেলা ১টার দিকে বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছান, যদিও তার গাড়িবহর তখনো আশুগঞ্জ এলাকাতেই আটকে ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। যেকোনো যানবাহনে এলে পথটি পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগে। তবে গত কয়েকমাস ধরে সড়কটির বেহাল দশার কারণে পথটি পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগে। যানজটের কারণে ভোগান্তি চরমে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেন উন্নীত করার কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় ধরে সংস্কার না করায় আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে করে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ধীরগতির কারণে মহাসড়কের এ অংশ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা। বৃষ্টি হলেই সড়কটি বেহাল দশায় উপনীত হয়।
অবস্থায় এই প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে আসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তাই গত রোববার থেকে সড়কের খানাখন্দের ভরাট শুরু করা হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চালানোর ফলে গত তিন দিন ধরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে মহাসড়কে। বুধবার সকাল থেকে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল আলম জানান, উপদেষ্টা আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটের আটকা পড়েছেন। সংবাদটি সংগৃহীত